একাকীত্ব, মানসিক চাপ এবং অবচেতনের অন্ধকার দিক-এর সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে মনস্তাত্ত্বিক হরর থ্রিলার গল্প “ রক্তদাবা"।

 

একাকীত্ব, মানসিক চাপ এবং অবচেতনের অন্ধকার দিক—এই তিনের সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে মনস্তাত্ত্বিক হরর থ্রিলার গল্প “ রক্তদাবা"। ছবির কেন্দ্রে রয়েছে আদিত্য চৌধুরী—একজন একাকী যুবক, যে প্রতিরাতে নিজের ঘরের আয়নায় দেখতে পায় এক ভয়ঙ্কর ছায়া। সেই ছায়া তাকে বাধ্য করে এক মারণ দাবার খেলায়, যেখানে প্রতিটি পরাজয়ের সাথে সাথে আদিত্য ধীরে ধীরে হারাতে থাকে নিজের স্বাভাবিক সত্তা।

শেষ আশার খোঁজে আদিত্য পৌঁছয় মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অনীশ রায়ের কাছে, যিনি আবার তার শৈশবের বন্ধু। বিজ্ঞানমনস্ক অনীশ শুরুতে সবকিছু মানসিক বিভ্রম বলে ব্যাখ্যা করলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে বুঝতে পারে—এই লড়াই শুধু মনের নয়, বাস্তব আর অবচেতনের সীমারেখা ভেঙে দেওয়া এক ভয়ংকর সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ানো।

“রক্তদাবা” একদিকে যেমন মনস্তাত্ত্বিক ভাঙনের গল্প, তেমনই এটি বন্ধুত্ব, একাকীত্ব এবং মানুষের নিজের অন্ধকার সত্তার সঙ্গে লড়াইয়ের এক গভীর ও থ্রিলিং আখ্যান। বাস্তব ও অতিপ্রাকৃতের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা এই গল্প দর্শককে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টানটান উত্তেজনায় ধরে রাখবে।






Post a Comment

Previous Post Next Post