পরিচালক অরুণাভ খাসনবিশের নতুন ছবি ‘আমিষ’ শুধুমাত্র এক হরর ফিল্ম নয়, বরং মানুষের ভেতরের অপরাধবোধ, শ্রেণীভেদ এবং অদৃশ্য প্রতিশোধের ভয়ানক দ্বন্দ্বকে তুলে ধরেছে।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র প্রীতি—এক তরুণী সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, যিনি কলকাতা থেকে কাজের সূত্রে পৌঁছান ছোট শহর চন্দনপুরে। থাকার জায়গা না পেয়ে তিনি আশ্রয় নেন দাদু–দিদার পুরনো বাড়িতে। কিন্তু বাড়িতে পা রাখতেই শুরু হয় অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতা। খাবারের টেবিলে কখনও সাজানো থাকে মাছ–মাংস, আবার মুহূর্তেই তা বদলে যায় ভাত–ডালে। ধীরে ধীরে প্রীতি আটকে পড়ে সেই বাড়ির অচেনা অন্ধকারে—যেখানে সময় নিজেই হয়ে ওঠে এক ভয়ংকর ফাঁদ।
পরিচালক অরুণাভ খাসনবিশ বলেন, “আমিষ আমার কাছে ভয়ের গল্প নয়, বরং অপরাধবোধ আর শ্রেণীভেদের গল্প। প্রীতির চরিত্র আসলে আমাদের সবার ভেতরের মুখ—দিনের আলোয় নিরামিষ, অথচ রাতের অন্ধকারে দিদার সাজানো আমিষ থালা।”
প্রযোজক গৌরব তপাদার জানান, “প্রেতকথার বয়স পাঁচ বছর। এতদিনে হাজারো ঘটনা পড়েছি, কিন্তু একদিন হঠাৎ মনে হল—এই তো সিনেমা! সাহস সঞ্চয় করে অবশেষে তৈরি হল ‘আমিষ’। এই সিনেমা আমার নতুন জন্ম, নতুন স্বপ্নের দরজা।”
নায়িকা প্রীতির কাছে ছবিটি বিশেষ এক অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “আমি ভূতের ভয়ে ভীষণ ভয় পাই, তাই এই চরিত্রে অভিনয় করা ছিল দারুণ চ্যালেঞ্জ। কিছু দৃশ্য এত ভয়ঙ্কর যে ডাবিংয়ের সময়ও আমি চমকে চিৎকার করে উঠেছি!”
ভয়কে ছাপিয়ে ভাবনার খোরাক জোগাতে আসছে ‘আমিষ’—যেখানে অতীতের ভুল, অপরাধ আর অন্ধকার মিলেমিশে রচনা করেছে এক অস্বস্তিকর দুঃস্বপ্ন।