আসলে ভারতবর্ষ এক সময় সোনার চিড়িয়া ছিল, দূর দূরান্ত থেকে মানুষ শিক্ষার জন্য , ব্যবসার জন্য , এমনকি লুটপাটের জন্যেও এসেছে। ইংরেজরা ভারতে আসার আগে ১৭০০ সালে ভারতবর্ষের GDP গোটা পৃথিবীর ২৮% ছিল। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় যখন তৈরি হয়েছিল,তখন সেখানে ১০,০০০ শিক্ষক- ১০,০০০ ছাত্র থাকতেন!! সেখানে গণিত , চিকিৎসাবিদ্যা, astrology, astronomy, তন্ত্রসাধনা ইত্যাদি কি না পড়ানো হতো!! জানা যায়, নালন্দার library নাকি ৩টে ৭ তলার building নিয়ে ছিল। oxford , Cambridge তার প্রায় কয়েকশো বা কয়েকহাজার বছর পর হয়।
১৮৩৬ এ সেই সময়কার governor parliament এ ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে একটা report আছে, যেখানে তিনি বলেছেন, গোটা ভারতে নাকি একটা গ্রামও ছিল না, যেখানে কোনো school ছিল না। তবে সেই school এখনকার দিনের মতো নয়। গুরুকূল system ছিল এবং সেখানে প্রায় ৫৩-৫৪ টা subject পড়ানো হতো!! সেখানে ছেলে মেয়ে সমান তালে পড়ত। এমনকি দক্ষিণ ভারতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের শিক্ষার হারও বেশী ছিলো। দক্ষিণ ভারতে শিক্ষার হার ছিল ৯০% এর কাছাকাছি । উত্তর ও পূর্ব ভারতে কিছুটা কম। তবে তাও যথেষ্ট বেশী।
সেই পুরো system টাকে ব্রিটিশরা ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়।কারণ কোনো একটা দেশকে শাসন করতে হলে তার culture ও education system টাকে সবার আগে ভেঙে দিতে হয়। সেটাই strategically ব্রিটিশরা করেছিল ।
কবি নজরুল তখন এই মনোবল ভেঙে যাওয়া জাতির আত্মসম্মান জাগিয়ে তোলার জন্য বেশ কিছু গান লেখেন এবং তাঁর গানের মাধ্যমে সেই পুরনো দিনের কথা — যখন ভারতবর্ষ গণিত, আয়ুর্বেদ, শল্যচিকিৎসা, সঙ্গীত,নৃত্য, দর্শন, সবকিছুতেই এগিয়ে ছিলো, সেই সময়কার কথা মনে করিয়েছেন ।
আজকে ভারতবর্ষ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার করেছে, হৃত গৌরবের বেশ কিছু দিক অনেকাংশে উদ্ধার হয়েছে। তবে কোথায় যেন এখনও আমাদের ভারতবাসীর দেশপ্রেম ও চেতনার স্বাভিমানে ঘাটতি রয়ে গেছে। বিভিন্ন রকম social media ও ভোগবাদী সমাজব্যবস্থায় আমাদের culture আবার ভাঙতে চলেছে। আমাদের পুরনো culture ভুলে গিয়ে অপসংস্কৃতির দিকে ঝুঁকছি। pollution , অরাজকতা, ড্রাগের নেশা, আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। তাই কবির মৃত্যুর এত বছর পরেও আজকেও যেন এই গান সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক। আর এই গানকে ফুটিয়ে তোলার জন্যে আমরা নিয়েছি প্রযুক্তির সাহায্য ।
বইয়ের পাতায় সাদা-কালো , অস্পষ্ট ছবিতে যাদের এতদিন দেখেছি, তাঁদেরকে আমরা আবার জীবন্ত হিসেবে অনুভব করতে পারবো ।বাংলায় এই প্রথমবার সম্পূর্ণ Ai দ্বারা নির্মিত একটি গানের চলচ্চিত্র নিয়ে আসছি স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে শুধুমাত্র আপনাদের জন্য ।যেখানে আমাদের প্রিয় মনীষিদের জীবন কাহিনি ধরা পড়বে বাস্তব দৃশ্যে। আমরা নতুন করে আবার চিনব আমাদের দেশকে, আমাদের ভারতবর্ষকে,ছুঁয়ে দেখবো আমাদের গৌরবময় ইতিহাসকে।